ঢাকা, ২০ জুলাই ২০২৫:
তথ্যমন্ত্রী মাহফুজ আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন যা ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিবৃতিতে তিনি সন্ত্রাস বিরোধী অবস্থানের পাশাপাশি মানবাধিকারের প্রতি অটল থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারে সহযোগিতা করুন। কিন্তু, নাগরিক হিসাবে সকলের মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন। কোন এলাকাকে Ghetto বানানোর চেষ্টা করবেন না।”
মাহফুজ আলম আরও উল্লেখ করেন, গোপালগঞ্জের নিম্নবর্গের হিন্দু সম্প্রদায় আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিপীড়িত ও বঞ্চিত হয়েছে। তাই দলের পরিচয় নয়, নিপীড়নের শিকারদের পাশে দাঁড়ানোই এখন সময়ের দাবি। “আমাদের উচিত, বাংলাদেশজুড়ে লীগের হাতে নিপীড়িত ও বঞ্চিতদের সাথে মৈত্রী করা,”– বলেন তথ্যমন্ত্রী।
শেখ হাসিনার শাসনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি লেখেন, “হাসিনার পরাজয় কেবল রাজনৈতিক নয়, নৈতিকও বটে। আমরা তার বিরুদ্ধে গিয়ে যেন আমাদের নৈতিক উচ্চতা না হারাই। গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে মানবিক মর্যাদা, বৈষম্যহীনতা ও সুবিচারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা পূরণ করাই আমাদের দায়িত্ব।”
বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কিছু মানুষের ‘ভাঙ্গার রাজনীতি’র সমালোচনা করে মাহফুজ আলম বলেন, “অনেকে এখনো ভাঙ্গার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু গড়ার কাজে কাউকে পাওয়া যায় না। অথচ, পুরানো বন্দোবস্ত মচকে গেছে। এখন আর এটাকে ভাঙ্গা যাবে না, বরং গড়ার কাজে আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত।”
তিনি স্বীকার করেন যে গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন রাষ্ট্র গঠনে কিছুটা অপ্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল। তবে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এখন নতুন ভিত্তিতে জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সময় এসেছে।
তথ্যমন্ত্রীর এই পোস্টটি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এক বাস্তবধর্মী ও দূরদর্শী দিকনির্দেশনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
