ময়মনসিংহময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ও নারকীয় হত্যাকাণ্ড। আজ সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে ভালুকা পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডে একটি বসতঘর থেকে এক মা ও তার দুই শিশুসন্তানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।নিহতরা হলেন – ময়না বেগম (২৫), তার মেয়ে রাইসা (৪) এবং ছেলে নীরব (২)। ময়না বেগম পেশায় স্থানীয় গার্মেন্টস শ্রমিক রফিক উদ্দিনের স্ত্রী। তাদের এভাবে নির্মমভাবে খুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুরো এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোক ও আতঙ্কের ছায়া।ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং তিনজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করি। কীভাবে বা কেন এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”তিনি আরও জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড আগে কখনও দেখা যায়নি। অনেকেই বলেন, “একজন মা ও দুই নিষ্পাপ শিশুকে এভাবে হত্যা করা কেবল পাষণ্ড মানুষই করতে পারে। আমরা দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”এই ঘটনার পর থেকে পুরো ভালুকা উপজেলাজুড়ে মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশে অতিরিক্ত নজরদারি ও তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।এখন পর্যন্ত রফিক উদ্দিন কোথায় ছিলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন কি না—এসব বিষয় নিয়েও পুলিশ তদন্ত করছে।এটি নিঃসন্দেহে চলতি বছরের সবচেয়ে বিভৎস হত্যাকাণ্ডগুলোর একটি, যা মানুষের হৃদয়ে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।

Posted inজাতীয়