
মিরপুর ডিওএইচএসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও ডাকাতি: লেফটেন্যান্ট (অব.) ইফতেখারসহ ৫ জন আটক
🗓 ২০ জুলাই ২০২৫ | ঢাকা রিপোর্টার্স ডেস্ক
রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২০ জুলাই) দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটে ডিওএইচএস এলাকার একটি বহুতল ভবনের পঞ্চম তলায় এ ঘটনা ঘটে।
সামরিক সূত্র জানায়, মেজর (অব.) সাবের আলীর মালিকানাধীন ওই ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকা বোরহান নামের এক ব্যক্তির বাসায় অভিযান চালান পাঁচজন ব্যক্তি। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট (অব.) ফিরোজ ইফতেখার, যিনি ২০০৭ সালে ৪৪তম লং কোর্স থেকে মেডিকেল বোর্ড আউট হন। সঙ্গে ছিলেন কর্পোরাল মুকুল (অব.) ও আরও তিনজন সদস্য।
তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে বাসায় ঢুকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে না পেয়ে ঘরের মূল্যবান সামগ্রী ব্যাগে ভরতে থাকেন। এ সময় তাদের সাথে থাকা সোর্স হারুনুর রশিদ (মিরপুর-১০ এর বাসিন্দা) বিষয়টিকে সন্দেহজনক মনে করে প্রাইভেট কারের পিছু নেন এবং রাস্তায় চিৎকার করে “ডাকাত যাচ্ছে” বলে জনসাধারণকে সতর্ক করেন।
পরে এনডিসি চেকপোস্টের সামনে পৌঁছালে একটি গাড়ি সামনে থাকায় অভিযুক্তদের গাড়ি থেমে যেতে বাধ্য হয়। এরপর উপস্থিত জনতা ও হারুনুর রশিদের সহযোগিতায় অভিযুক্তদের আটক করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে কর্পোরাল মুকুল (অব.) জানান, আগের দিন এক চায়ের দোকানে হারুনুর রশিদের সাথে পরিচয় হয় এবং তিনি জানান, এক ব্যক্তির কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয় বলে দাবি করেন তারা।
সূত্র মতে, লে. ইফতেখার (অব.) ‘জাস্টিস ফর কমরেডস’ নামক সংগঠনের একজন সক্রিয় সদস্য, যা পরিচালনা করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির (অব.)। অপরদিকে কর্পোরাল মুকুল (অব.) ‘সহযোদ্ধার’ নামে পরিচিত এক বিপথগামী সেনাসদস্যদের গ্রুপের সদস্য।
আটককৃত মালামাল:
মোবাইল ফোন: ৫টি
ডায়মন্ড জুয়েলারি
স্বর্ণালংকার
ল্যাপটপ
হাতঘড়ি: ৩টি
প্রসাধনী সামগ্রী
ইয়াবা ট্যাবলেট (কয়েক পিস)
হেডফোন সেট
পাসপোর্ট ও বিভিন্ন ডকুমেন্টস
পরবর্তীতে আটককৃতদের পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে, লে. ইফতেখার (অব.)-এর কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।