বর্জ্য ফেলে খালে সড়ক ধসে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল, দুর্ঘটনার শঙ্কা

বর্জ্য ফেলে খালে সড়ক ধসে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল, দুর্ঘটনার শঙ্কা

বর্জ্য ফেলে খালে সড়ক ধসে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল, দুর্ঘটনার শঙ্কা

সৈয়দ মোঃ ইমরান হোসেন, রাঙ্গুনিয়া:
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানিরহাট-শিশুতল সড়কে চিতাখোলার পাশে ঘাগড়া খালের অংশে সড়ক ভেঙে পড়ার আশঙ্কাজনক অবস্থা তৈরি হয়েছে। এলাকার অসাধু কিছু মুরগি খামারির দীর্ঘদিন ধরে খালে পোলট্রির বর্জ্য ফেলে আসার ফলে খালের পাড় ভেঙে সড়কের একাংশ বিলীন হয়ে গেছে। এতে স্থানীয়দের চলাচল ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেলতলী ব্রিজ ও চিতাখোলার মধ্যবর্তী স্থানে পোলট্রি বর্জ্যের অব্যবস্থাপনার কারণে ঘাগড়া খালের তীরে রানিরহাট-মরিয়মনগর ডিসি সড়কের বেশ বড় অংশ দেবে গেছে। এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।

পাশের ক্ষেতে কাজ করা কৃষকরা জানান, “পোলট্রি খামারের দুর্গন্ধে ফসলি জমির পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। একদিকে গন্ধে টিকে থাকা যাচ্ছে না, অন্যদিকে সড়কটা ভেঙে পড়ছে চোখের সামনেই।”

বাইকে চলাচলকারী তাওহিদুল ইসলাম জানান, “এই রাস্তাটি খুবই ব্যস্ত, রাত-দিন মানুষ যাতায়াত করে। সড়কের অনেকটাই খালের মধ্যে চলে গেছে। বড় কোনো ট্রাক এলে বা ভারি যানবাহন চললে বড় দুর্ঘটনা অনিবার্য।”

স্থানীয় ধামাইরহাটের ব্যবসায়ী আমান বলেন, “সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে। এখন এটা একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। যেকোনো সময় পুরো সড়কটাই খালে ধসে যেতে পারে।”

এদিকে, সিএনজি চালকদের অভিযোগ, বর্ষাকালে খালের স্রোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তাদের মতে, “দ্রুত গার্ডওয়াল নির্মাণ করে রাস্তা রক্ষা করতে না পারলে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়বে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মোঃ দিদারুল আলম বলেন, “স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বিষয়টি আমরা আমলে নিয়েছি। মেইনটেনেন্স ইউনিটের মাধ্যমে সমাধান হবে। ইতোমধ্যে কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। সদর দপ্তর এবং অঞ্চল থেকে দুটি পৃথক টিম আসবে। টিমগুলোর সমন্বয়ে নতুন ডিজাইন তৈরি করে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত মেরামত করে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যেন আর কোনো প্রাণহানি বা বড় বিপর্যয় না ঘটে।

Spread the love

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *