


উদ্বোধনের দীর্ঘ তিন বছরেও সম্পন্ন হয়নি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ
মুজিবুর রহমান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০২২ সালের মার্চে ২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৫০০ মিটার দৈর্ঘের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু ৩ বছর পার হলেও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি এ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কিছু অংশ এখনও বাকি রয়ে গেছে। এছাড়া ২০২৪ সালের আগষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের যে অংশ নির্মাণ করা হয় তার কয়েকটি জায়গায় স্থানীয়রা দেওয়াল ভেঙে ফেলে। শিউলীমালা হল সংলগ্ন অংশ ভেঙে ফেলার পর তা সংস্কার করা হলেও চুরুলিয়া মঞ্চ ও নতুন বিজ্ঞান ভবন সংলগ্ন অংশ এখনও সংস্কার হয়নি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুদ্বীপ এলাকায় স্থানীয়দের বাঁধায় যে অংশটি ফাঁকা রাখা হয়েছিলো সেখানেও দেওয়াল নির্মাণ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি বিজ্ঞপ্তিতে ১ ডিসেম্বর থেকে চলাচলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দুটি গেইট ব্যবহারের এবং ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল ফাঁকা অংশ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনার সাত মাস পার হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন।
চারুদ্বীপ এলাকার একজন বাড়িওয়ালা মাহমুদ আলী বলেন, “রাস্তা এখনই বন্ধ করা হবে না। আমাদের যাতায়াতের জন্য এই ভার্সিটির রাস্তা ছাড়া অন্য কোন পথ নাই। কয়েক মাস আগে ইউওএনও সাহেব এসে দেখে গেছেন আমাদের জন্য বিকল্প একটা রাস্তা করে দিবে পূর্ব দিক দিয়ে। এখন হয়তো বাজেট নাই তাই রাস্তা করতে পারছে না। এটা বন্ধ করে দিলে আমাদের একটু কষ্ট হবে। আমাদের ঘুরে যেতে হবে অনেকখানি। এখনকার মতো হয়তো ভাড়াটিয়াও পাওয়া যাবে না। আপাতত বিকল্প রাস্তা না করা পর্যন্ত এই রাস্তা বন্ধ করা হবে না।”
পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “আমরা এটার উদ্যোগ নিবো, সব ক্লোজ করে দেওয়া হবে। এটা কবে সেই ডেইট দিতে পারবো না আমি। এজ আর্লি এজ পসিবল এটা আমরা ক্লোজ করে দিবো, এটা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আমাদের উপর চাপ আছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিংয়ের শিক্ষার্থী জুয়েল বলেন, “ব্যসিক্যালি এই জায়গাগুলো যদি খোলা থাকে তাহলে ভার্সিটির নিরাপত্তার একটা শঙ্কা থাকে। আমাদের জন্য এই জায়গাগুলো দিয়ে যাতায়াতের সুবিধা হলেও মেইনলি আমার যাতায়াতের জন্য হলো মেইন গেইট। আমার বাসায় যদি দেওয়াল থাকে তাহলে যতোই ঘুরে হোক আমাকে গেইট দিয়েই ঢুকতে হয়। তাছাড়া এভাবে খোলা থাকলে যে কোন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে যেতে পারে।”
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ মোফাছিরুল ইসলাম বলেন, “এটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে, এই জায়গাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই কাজ করার জন্য আমাদের আসলে সিকিউরিটি দরকার। এটার জন্য প্রক্টরিয়াল বডির সাথে সমন্বয় করা হচ্ছে, আজকে বন্ধ করে দিলে কাল আবার ভাঙা হতে পারে। কারণ এই জায়গাগুলো তো করাই ছিলো, পুনরায় যেন না ভাঙে সে জন্য সিকিউরিটি দরকার।”
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কে বলেন, “আমরা প্ল্যানিং কমিটিকে কাজ শুরু করতে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা হয়তো খুব তাড়াতাড়িই কাজ শুরু করবে।”